আলহামদুলিল্লাহ, আমি ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী একজন মানুষ। চেষ্টা করি জীবনের প্রতিটি কাজে হালাল ও হারামের মাঝে পার্থক্য বজায় রাখতে এবং ইসলামিক আদর্শের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে। নামাজের প্রতি যত্নশীল হওয়ার চেষ্টা করি এবং আত্মউন্নয়নের জন্য নিজের ঈমান মজবুত করার ইচ্ছা রাখি। পারিবারিক জীবনকে ইসলামের নির্দেশিত পথে পরিচালনা করতে চাই। আমি এমন একজন জীবনসঙ্গী খুঁজছি, যিনি দ্বীনদার, দায়িত্বশীল এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

স্বাভাবিক ভাবে যতটুকু দাঁড়ি আছে রেখে দিয়েছি সুন্নতের নিয়তে ।

একজন শিক্ষার্থী। বর্তমানে পড়ালেখার পাশাপাশি একটি উপযুক্ত চাকরি খুঁজছি যেন নিজের খরচ চালাতে পারি এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা করে চলি এবং আল্লাহর রহমতে যা দরকার, তা পূরণ করতে সক্ষম হই। আমি চাই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করতে এবং ব্যক্তিগত জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে। আমি বিয়ে করার চিন্তা করছি, কারণ ইসলাম ধর্মে বিয়েকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক একটি ইবাদত হিসেবে দেখা হয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন: "আর তাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য তোমাদের সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি পাও, এবং তিনি তোমাদের মধ্যে প্রেম ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।" — সূরা আর-রূম, আয়াত ২১ এছাড়াও রাসূল (সা.) বলেছেন: "হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে; কারণ এটা দৃষ্টিকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে সংরক্ষণ করে।" — সহিহ বুখারি ও মুসলিম এই হাদিস ও আয়াত থেকে বোঝা যায়, বিয়ে শুধু একটি সামাজিক রীতি নয় বরং আত্মিক প্রশান্তি ও নৈতিক নিরাপত্তার উৎস। তাই আমি চেষ্টা করছি নিজেকে একটি দায়িত্ববান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে, যাতে ভবিষ্যতে সংসারকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারি।

আমার এক বড় ভাই এবং এক বড় বোন আছেন বোন বিবাহিত অস্ট্রেলিয়া থাকে

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয় আলহামদুলিল্লাহ । তবে মাঝে মাঝে কাজা হয় ।

ইহসান – ড. খালিদ সাইফুল্লাহ ২. রিয়াজুস সলেহীন (বাংলা অনুবাদ) – ইমাম নববী (রহ.) ৩. কুরআনের আলোকে নারীর অধিকার – মুফতি তাকি উসমানী ৪. কুরআন সহজ ব্যাখ্যা – মাওলানা মুফতি শফী (রহ.) ৫. হাদীসের আলোকে জীবন গড়ি – ড. মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী

"আমি বিয়ে করতে চাই, কারণ ইসলাম বিয়েকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও সুন্নত হিসেবে গণ্য করেছে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, ‘আর তাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে প্রেম ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আর-রূম, আয়াত ২১)। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। আর যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)। বিয়ে মানুষকে চরিত্রের পবিত্রতা রক্ষা করতে সাহায্য করে, দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং মানসিক প্রশান্তি ও স্থিতি এনে দেয়। বিয়ে করার মাধ্যমে আমি আমার দ্বীন পূর্ণ করার চেষ্টা করছি, কারণ রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিয়ে করলো, সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করলো। এখন সে যেন বাকি অর্ধেকের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে।’ (বায়হাকি, শু'abul Iman)। তাছাড়া, পরিবার গঠন করা ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত সম্মানজনক কাজ এবং এটি সমাজের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে ভূমিকা রাখে। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই আমি বিয়ে করতে চাই।"

আমি এমন একজন স্ত্রী চাই, যিনি ইসলামী আদর্শ মেনে চলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “নারীকে বিবাহ করা হয় চারটি গুণ দেখে: তার সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, সৌন্দর্য এবং দ্বীনদারীর জন্য। তবে তুমি দ্বীনদার নারীকে অগ্রাধিকার দাও, তোমার কল্যাণ হবে।” — (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম) এই হাদিসের আলোকে আমি চাই: যিনি দ্বীনদার, অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন, ইসলামি শিষ্টাচার মেনে চলেন। যিনি পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, সততা, লজ্জাশীলতা ও আত্মসংযমের গুণে গুণান্বিত। যিনি পরিবারকে ভালোবাসেন এবং সংসার রক্ষা ও সন্তানদের ইসলামি শিক্ষায় বড় করার মানসিকতা রাখেন। যিনি আদব-আখলাকে উত্তম — কথা-বার্তায় নম্রতা ও সহনশীলতা থাকে। যিনি সহযোগী ও সহনশীল — সুখে-দুঃখে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাশে থাকতে ইচ্ছুক। সৌন্দর্য বা সম্পদ বিবেচ্য হলেও, এগুলো নয়; আমি চাই আল্লাহভীরু ও নেককার জীবনসঙ্গিনী, যার মাধ্যমে আমি দ্বীনের পথে আরও অগ্রসর হতে পারি এবং পারস্পরিকভাবে জান্নাতের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। আমার উদ্দেশ্য হলো, একজন স্ত্রীকে শুধু পার্থিব জীবন সুন্দর করার জন্য নয়, বরং আখিরাতের সফলতার সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার আশা করা যায়