আমি সহজ সরল একটা মেয়ে,,,সরল মনে মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলি আর ঠকে যাই,,,কারো দুঃখ কষ্টের কথা বললে সহজেই বিশ্বাস করে ফেলি,,,, ইসলামিক গল্প শুনতে ভালো লাগে,,,,

হিজাব,নিকাব সহ পরিপূর্ণ পর্দা করি । হাত মুজা পড়া হয়,পা মুজা পড়া হয় না

অন্যায় দেখলো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনা,,উচিত কথা বলো ফেলি তখন সবার কাছে খারাপ হয়ে যাই

সামর্থ অনুযায়ী দান সদকা করতে ভালো লাগে,,,,গরিবকে সাহায্য করতে ভালো লাগে

মা বাবা আমি আর আমার একটা দেড় বছরের মেয়ে,, বাবা জব করেন মা গৃহিনি

আমার পরিবারে মা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে বাবা মাঝে মাঝে পড়ে,,, পরিবারে আমি আর আমার একমাত্র বোন ভাই নেই,,,বোন দ্বীন তেমন পালন করেনা মাঝে মাঝে নামাজ পরে,,,আমি বিয়ের আগে পরিপূর্নভাবে পর্দা করতাম, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরতাম, হাত মোজা পা মোজা পরিধান করে চলতাম সবসময়,,,কোনো নর মাহরাম পুরুষের সামনেই যেতামনা,,, তাহাজ্জুদ পরতাম রেগুলার। ফরজ আমলের পাশাপাশি নফল আমল করতাম অনেক,,, নফল নামাজ পরতাম, নফল রোজা করতাম,প্রত্যেক সোমবার, বৃহস্পতিবার রোজা রাখতাম,,,,কুরআন তেলাওয়াত করতাম প্রায় সময়,,,,সব সময় ভাবতাম আমি যেমন আমার জীবনে যেন এমন ই একজন দ্বীনদার মানুষ আসে,,,আল্লাহর কাছে সবসময় দোয়া করতাম,,,,আর অপেক্ষায় থাকতাম দেরি হলেো হয়ত এমন মানুষ ই আসবে আমার জীবনে,,,বুক ভরা বিশ্বাস নিয়ে বসে থাকতাম,,,,দ্বীনদার মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে করতে এমন অনেক বেদ্বীন ভালো সমন্ধ ও অনেক রিজেক্ট করেছি,,,,তারপর আসে আমার স্বামী আর তারপর পরিবার তারা আমার মা বাবাকে বলে তার ৩ টা ছেলে ২ছেলে হাফেজ বড় জন বাদে,,,হাফেজ নামাজি দেখে বিয়েতে রাজি হয়ে যাই আমার মা বাবাও তেমন কোনো খোজ না নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়,,তার ২ মাস পর জানতে পারি তার আগেও ২ টা বিয়ে হয়েছিল,,,নারিদের সাথে তার খারাপ অবৈধ সম্পর্ক,, আর নামাজ কালাম ও পরে না,, এলেম আছে কিন্তু আমলের কোনো বালাই নেই তার ভাবিরাও আমার শাশুড়ী উল্টা পাল্টা বুঝাই আর বাচ্চা নিয়ে নিতে বলে তারাতাড়ি,,,তাই বাচ্চাটাও নিয়ে নেই ২ মাস পর আমি প্রেগনেন্ট কিন্তু তার পরপর ই আমার স্বামী আর শশুড় বাড়ির সব কুকির্তি জানতে পারি,,, তারপর থেকেই মানসিক শারিরিক অত্যাচার আর আমাকে বেপর্দা করতে বাধ্য করে,,, পর্দায় থাকতে দেইনাই তারা আমাকে,, তখন সব সময় কান্না করতাম,,,,আস্তে আস্তে তাদের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আর স্বামীর মন যুগিয়ে চলতে গিয়ে আমার বাহিরের পর্দা নষ্ট হয়ে যায়,,, তারপর থেকে শুধু কাদতাম নামাজ ও ঠিকমত পরতে দিতোনা,,, ওরা খুব খুব ইসলাম পালনে উদাসীন ছিল,, বুঝতেই পারোনি আমার মা বাবা ওরা যে মুখোশধারী ছিল,,,,এমনকি আমার স্বামী ও তার পরিবার অত্যন্ত লোভি ছিল,,,যৌতুকের জন্য সবসময় প্রেশার দিত,, আমার স্বামি বিয়ের প্রথম প্রথম কাজ করলেও ২ মাস পর থেকেই দেখতাম কাজে যায় না অলস ছিল,,,, তারপর কাজকর্ম করতনা আর সংসারে শুধু শুধু অশান্তি করতো,,,,সব কিছু মানিয়ে নিয়েও যখন বাচ্চা হয় তখন দেখি আর সম্ভব না কারন আমার মা বাবার সব দিয়ে আমার সংসারকে টানতে হতো কিন্তু আমার মা বাবা তেমন ধনি না যে সারাজীবন আমার সংসার বহন করবে,,,,ওকে ভালো করার, বুঝানোর অনেক চেষ্টা করি কিন্তু ঐ কোনো কথাই শুনেনা,,,,, তারপর নিজের সন্তান আর আল্লাহর কথা চিন্তা করে নিজেই নিজের উপর ডিভোর্স নিয়েছি কারন ঐ আমার কোনো কথাই শুনে না,,,,ওরে মানুষ করা আমার কোনোদিন সম্ভব না,,,,তাই আমি এখন চাই আমার জীবনে এমন একজন মানুষ আসবে যে আমাকে পরিপূর্ণ পর্দায় রাখবে আমাকে আর আমার দেড় বছরের বাচ্চাটাকে গ্রহন করবে,,,,আমি অতিতের সব ভূলে যেতে চাই আমি নতুন করে আবার জীবনটা শুরু করতে চাই তাই সত্যিতারের একজন দ্বীনদার ভালো মানুষ চাই,,,,

বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের জন্য তেমন পালন করতে পারিনি তারা করতে দেইনি তবে,,,এখন থেকে আবার শুরু করছি,,,, আমি পরিপূর্ণ দ্বীন পালন করতে চাই,,,তাই উত্তম একজন জীবন সঙ্গী আমার জীবনে আসুক

কঠোর ভাবে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয় আলহামদুলিল্লাহ ।

বিয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে,,,এই সমাজে স্বামী ছাড়া একজন ডিভোর্সির নারীর কোনো মূল্য নেই,,,,আমার সন্তান সহ আমার একটা নিরাপদ আশ্রয়ের খুব প্রয়োজন যে আমাকে আমার সন্তানকে রিজিকের পাশাপাশি নিরাপত্তা দান করবে,,,, আমি যার ঘরে যাবে তার সন্তান থাকলে নিজের সন্তানের মত করেই লালন পালন করবো ইন শা আল্লাহ,

আমার স্বামী জুয়া খেলতো কাজ কর্ম করতনা,,,, স্ত্রী সন্তানের ভরন পোষন দিতনা,, সংসারে সবসময় অশান্তি করতো,, বেদ্বীন ছিল, সত্যের চেয়ে মিথ্যাই বলতো বেশি তাই সংসারে সবসময় অশান্তি হতো,,,আল্লাহর উপর ভয় ছিলনা কোনো,,,দ্বীন পালনে অনাগ্রহী ছিল,,একজন জুলুমকারি অত্যাচারি আর লোভি পরিবার ছিল,,,তাই ডিভোর্স নিয়েছি,,, আরো বিস্তারিত সাক্ষাতে বলবো