আমি একজন সাদামাটা মানুষ। সাদাসিদে জীবন যাপন করাকেই পছন্দ করি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিষয়কে পছন্দ করি না। লৌকিকতা একদম পছন্দ নয়। যেটা আমার সাধ্যে রয়েছে, সেটাই করার চেষ্টা করি। সর্বদা চেষ্টা করি মানুষকে কষ্ট না দেয়ার। কারণ ফরজ এবাদতের পর বান্দার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে, মাখলুকের সাথে ভালো আচরণ। কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করার চেষ্টা করি না। কারণ হাদিসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্য হতে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে যা পছন্দ করে তা তার অপর ভাইয়ের জন্য পছন্দ করবে” তাই অন্যের জন্য যা কষ্টকর সেটা অন্যকে পৌঁছানোর ইচ্ছা কখনোই করি না। অল্প কথা পছন্দ করি। তবে সে কথা যদি উপকারী হয়, ধর্মীয় বিষয় হয় তাহলে সমস্যা নেই। কারণ অহেতুক কথাবাত্রা মানুষকে গীবদের দিকে নিয়ে যায়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন ভালো কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকেন।” অন্যত্রে তিনি বলেন, “ইসলামের সৌন্দর্য হচ্ছে অনর্থক বিষয়কে বর্জন করা।” তাই অহেতুক কথাবার্তা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করি। আমি এমন সকল মানুষদেরকে বেশি পছন্দ করি যারা পরোপকারী, এলেম অর্জনে পচন্ড আগ্রহী। কারণ প্রকৃত ইলম মানুষকে গুনাহ থেকে এবং অহেতুক কাজকর্ম থেকে বিরত রাখে।

আমি সবসময় যেটাই করতে চাই তাতে আল্লাহর সন্তুষ্ট খোঁজার চেষ্টা করি। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতে পছন্দ করি। অবসর সময়গুলোতে আমার অজানা এলেম জানতে খুব পছন্দ করি। ইসলামিক বই পড়া কাছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির নিকট সুস্বাদু খাবার পাওয়ার মত। আমি তালিবুল ইলম সেটা যেন মৃত্যু পর্যন্ত থাকে সেটাই কামনা করি।। প্রয়োজনীয় কথাবাত্রা ছাড়া অহেতুক কথাবাত্রা অপছন্দ করি বিশেষ করে গীবত সেকায়েত।। সর্বদা মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি।।

আমরা মধ্যবিত্ত। বাড়ির জায়গা ছাড়া ৮ শতক জায়গা রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, স্বচ্ছলতার সাথে আল্লাহ চলার তৌফিক দিয়েছেন।

তিন ভাই এক বোন পাত্রসহ। বড় ভাই: বিবাহিত। সৌদি আরব প্রবাসী। পাত্র মেজ। তৃতীয়: বোন বিবাহিতা। (দাওরায় হাদিস পাশ) ছোট ভাই মাদ্রাসা ছাত্র (কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছে)

বাবা ছাড়া সবাই পুরনো দ্বীন পালনের করেন। বাবা প্র্যাকটিসিং মুসলিম না হলেও দ্বীনি কোন বিষয়ে মানার ক্ষেত্রে জন্য প্রতিবন্ধক নয়।

সর্বদা ফরজ এবাদতের ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা। ওয়াজিব এবাদতগুলাও কঠোর ভাবে পালন করার চেষ্টা। তবে সুন্নত মুস্তাহাব যতটুকু সম্ভব আদায় করার চেষ্টা করি।

কঠোর ভাবে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয় আলহামদুলিল্লাহ ।

হাদিসের বই পড়তে খুব পছন্দ আর ফিকহের বিষয়ে। পছন্দের তালিকায় অনেক বই রয়েছে তাই আর নির্দিষ্ট করে বললাম না।

মুস্তাকুন নবী কাসেমী, তাকি উসমানী, মুফতি আবদুল মালেক হাফি:

বিয়ে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত এবাদত। এর মাধ্যমে গোনা থেকে বিরত থাকা সহজ। পাশাপাশি অর্ধেক দ্বীন পালন হয়। ফিতনাযুক্ত এই দুনিয়াতে অবিবাহিত থাকাটাই সবচেয়ে বড় ফেতনা। ফেতনা মুক্ত থাকারও একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে বিয়ে, তাই বিশেষভাবে বিয়ে করতে চাই।

শ্যামলা , উজ্জ্বল শ্যামলা , ফর্সা , উজ্জ্বল ফর্সা , কালো

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ চারটি জিনিস দেখে বিয়ে করে, চতুর্থ নাম্বারটির ব্যাপারে রাসূল বলেন, তোমরা দ্বীনদারিকে প্রাধান্য দিয়ে সফলতা অর্জন করো। তাই একমাত্র চাওয়া হচ্ছে জীবনসঙ্গী দ্বীনদার হবেন। “দ্বীনদার” এই ছোট্ট শব্দের মধ্যেই যেহেতু দ্বীনি সমস্ত বিষয় লুকায়িত তাই এর বিস্তারিত বললাম না। দ্বীন বুঝার, শিখার এবং আমল করার প্রবল আগ্রহ থাকা। এছাড়া দুনিয়া যে সমস্ত বিষয় রয়েছে হালাল এবং যেগুলো তার জীবনের সাথে পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত সে সমস্ত বিষয়ে জেনে নেয়ার চেষ্টা থাকা। মানুষ মাত্রই শিখবে। শিখার ক্ষেত্রে কোন মানুষ পূর্ণাঙ্গ নয়। তাই সব বিষয়ে শিখার আগ্রহ থাকা যদি সেটা শেখার বিষয় হয়। সব সময় সব কিছুতে দ্বীনকে প্রাধান্য দেয়ার মন-মানসিকতা থাকা।