আসসালামু আলাইকুম। আমি হামিদুর রহমান, বগুড়া জেলার একজন সাধারণ মানুষ, কিন্তু আমার চিন্তা-ভাবনা, জীবনবোধ আর মূল্যবোধ সবসময়ই একটু আলাদা ছিল। ছোটবেলা থেকেই আমি পরিবারের প্রতি খুব সংবেদনশীল ছিলাম। পরিবার আমার কাছে শুধু একটা দায়িত্ব না, বরং ভালোবাসা, প্রশান্তি আর ভরসার জায়গা। বাবা-মা, আর দুই বোনকে নিয়ে আমাদের ছোট্ট পরিবারটা আমার পৃথিবী। আমি মেঝো সন্তান, তাই বড়দের সম্মান আর ছোটদের প্রতি দায়িত্ব—এই দুই দিকই আমি হৃদয় দিয়ে ধারণ করি। আমার শিক্ষাজীবনের শুরুটা হয় কওমি মাদ্রাসায়। সেখানে আমি শুধু ধর্মীয় জ্ঞান নয়, ধৈর্য, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি। পরে আমি সাধারণ শিক্ষায় এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে যুক্ত হই—কারণ আমি বিশ্বাস করি, দুনিয়া ও আখিরাত—দুটো দিকেই প্রস্তুত থাকা একজন মুসলমানের দায়িত্ব। বর্তমানে আমি চেষ্টা করছি নিজেকে গড়ে তুলতে। ক্রসবর্ডার ই-কমার্স এবং ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে হালাল উপার্জনের পথ ধরে আমি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ, কাজ করতে ভালো লাগে, পরিশ্রম করতে ভয় পাই না। নিজের কষ্টে কিছু অর্জনের মধ্যে যে আত্মতৃপ্তি আছে, সেটা আমি অনুভব করি। আমার স্বভাব শান্ত। মনের কথাগুলো সবসময় সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি না, তবে ভালোবাসা আর সম্মান দিতে জানি। আমি রাগ খুব ভালোভাবে কন্ট্রোল করি এবং নিজের আবেগের দায়িত্ব নিজেই নিই। অন্যের জন্য কিছু করতে পারলে শান্তি পাই, যদিও মাঝে মাঝে নিজের কাজগুলো পেছিয়ে যায়। ধর্ম আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। শুধু নামাজ-রোজা নয়, বরং প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি খোঁজার চেষ্টা করি। দ্বীনের পথে থাকার জন্য সবসময় চেষ্টা করি এবং ভবিষ্যতে নিজের পরিবারকেও সে পথেই রাখতে চাই ইনশাআল্লাহ। জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি এমন একজনকে খুঁজছি, যিনি আমার মতোই শান্ত, দ্বীনদার, পারিবারিক ও আন্তরিক হবেন। যাঁর সঙ্গে আমি শুধু একটি সংসার নয়, বরং একটি পরিপূর্ণ ইসলামি জীবন গড়তে পারব—ভালোবাসা, ইমান ও সম্মানে পূর্ণ একটি জীবন।

স্বাভাবিক ভাবে আমার দাঁড়ি নেই। থাকলে ইনশা আল্লাহ রেখে দিতাম ।

আমি মাঝে মাঝে নিজের ভেতরেই গুটিয়ে থাকি, যার কারণে সব কথা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি না। নতুন মানুষের সঙ্গে সহজে মিশে যেতে একটু সময় লাগে। কোনো কাজকে খুব সিরিয়াসভাবে নেওয়ার প্রবণতা আছে, যা মাঝে মাঝে অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করে। অনেক সময় নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলি, ফলে নিজের জন্য যথেষ্ট সময় দিতে পারি না। এছাড়াও, আমি অন্যের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে আগ্রহী থাকি, যার ফলে নিজের কাজ অনেক সময় পিছিয়ে যায়।

আমি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি এবং পারিবারিক বন্ধনকে খুব গুরুত্ব দিই। আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ও আন্তরিক। আমি নিজের আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি, যাতে সবার সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশতে পারি। বন্ধু-বান্ধব না থাকলেও আমি আত্মবিশ্বাসী এবং নিজের লক্ষ্য ও ক্যারিয়ার নিয়ে খুব ফোকাসড। সবসময় নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করি এবং সৎ ও দায়িত্বশীল জীবনযাপন করতে পছন্দ করি।।

আলহামদুলিল্লাহ, আমি একটি উচ্চ-মধ্যবিত্ত, সুশৃঙ্খল ও সম্মানিত পরিবারে বড় হয়েছি। আমাদের জীবনে কখনো অপচয় ছিল না, আবার অভাববোধও ছিল না—ছিল পরিকল্পনা, পরিশ্রম আর পরিমিত জীবনযাপনের শিক্ষা। বাবা-মায়ের দোয়া, তাঁদের পরিশ্রম এবং আল্লাহর রহমতে আমাদের পরিবারে একটি স্থিতিশীল ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, জীবনের আসল সৌন্দর্যটা মনের শান্তি, সম্পর্কের মাধুর্য আর দীনদারতার ভেতরেই লুকিয়ে আছে। টাকার অহংকার নয়, বরং শোকর আর বরকত—এটাই আমাদের পরিবারের ভেতরের শক্তি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু না চাইতে, এবং যা আছে, তা নিয়েই আল্লাহর উপর ভরসা রেখে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে।

আলহামদুলিল্লাহ, আমার পরিবার একটি শিক্ষিত, সুশৃঙ্খল ও দ্বীনদার পরিবেশে গড়ে উঠেছে। আমার বাবা একজন কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক। তিনি শুধু আমাদের পরিবারের অভিভাবকই নন, বরং একজন আলোকবর্তিকা, যিনি নিজের জীবন দিয়ে আমাদেরকে দীন ও নৈতিকতার পথ দেখাচ্ছেন। তাঁর মুখের কথা, চালচলন, আর যাপনেই শিক্ষার একটা বাস্তব ছাপ থাকে, যা আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। আমার মা একজন গৃহিণী। তিনি সংসারটা এত সুন্দরভাবে আগলে রেখেছেন, যেন সেটাই তাঁর ইবাদতের একটি অংশ। তাঁর মমতা, দোয়া আর নীরব ত্যাগ—সব মিলিয়ে তিনি আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় রহমত। আমার বড় বোন বিবাহিত। আলহামদুলিল্লাহ, সে সুখী সংসার করছে এবং আমাদের সাথে আজও হৃদয়ের বন্ধনে জড়িয়ে আছে। ছোট বোন এখনো পড়াশোনায় ব্যস্ত—সে পরিবারের আদরের। আমরা সবাই মিলে তাকে দীন ও দুনিয়ার ভারসাম্যময় একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের পরিবারে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা, দ্বীনি পরিবেশ আর আত্মমর্যাদার এক মজবুত ভিত্তি আছে। সুখ-দুঃখ, সহজ-জটিল—সব সময় আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই।

আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তিন ভাই-বোনের এক সুন্দর পরিবার। আমি মেঝো। আমার বড় বোন একজন বিবাহিত গৃহিণী—নরম স্বভাবের, দ্বীনদার, দায়িত্বশীল একজন মানুষ, যিনি নিজের পরিবারে খুব সুন্দরভাবে জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁর সাথে সম্পর্কটা শুধু রক্তের নয়, বরং একজন আপন বন্ধু ও দোয়াকারীর মতো। আমার ছোট বোন এখনো পড়াশোনা করছে। সে পরিবারের আদরের এবং খুবই সংবেদনশীল একজন মেয়ে। তার চোখে এখনো অনেক স্বপ্ন, আর আমরা সবাই মিলে চাই, সে যেন সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে। আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে সম্পর্কটা খুব গভীর—সময়ের প্রয়োজনে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই, দুঃখ ভাগ করে নেই, আর আনন্দের সময়টা একসাথে উপভোগ করি। দুনিয়ার ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের পারিবারিক বন্ধনই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় শান্তি।

কঠোর ভাবে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয় আলহামদুলিল্লাহ ।

মুফতি তারিক জামিল। মুফতি তারেক মাসুদ। ডঃ মিজানুর রহমান আজহারী।

বিয়ে সম্পর্কে আমার ভাবনা ও আগ্রহ আমি বিয়ে করতে চাই—কারণ বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধন নয়, বরং এটি একটি ইবাদত, একটি সুন্নাহ, একটি দায়িত্বপূর্ণ সম্পর্ক, যেখানে ভালোবাসা, ভরসা এবং দ্বীন একসাথে চলে। জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি বুঝেছি—মানুষের জীবনে একজন সাথী থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এমন একজন সাথী, যে শুধু সুখে নয়—দুঃখেও পাশে থাকবে; যে শুধু দুনিয়ার সঙ্গী নয়, বরং আখিরাতের সফরেও হাত ধরবে। আমি চাই এমন একজন জীবনসঙ্গিনী, যার সাথে একসাথে আল্লাহর দিকে চলা যাবে, যার সাথে রিজিক হালাল হবে, দৃষ্টি পবিত্র থাকবে, অন্তর প্রশান্ত হবে। আমার কাছে বিয়ে মানে শুধু একটি নতুন সম্পর্ক গড়ার নাম নয়—বরং এটি আমার দ্বীনি পরিপূর্ণতার একটি অংশ। আমি চাই আমার সংসার এমন হোক, যেখানে নামাজ, ইলম, ও পরস্পরের দায়িত্ববোধ একসাথে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, ভালোবাসা তখনই পূর্ণতা পায় যখন তার মধ্যে তাকওয়া, সবর, দয়া এবং আল্লাহর ভয় থাকে। বিয়ে নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি গড়েছে কুরআন-হাদীস থেকেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: > "বিয়ে আমার সুন্নাহ। যে আমার সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরায়, সে আমার দলভুক্ত নয়।" (সহীহ বুখারী) এই হাদীস আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। আমি বিশ্বাস করি, একজন প্রকৃত মুমিন হিসেবে পরিপূর্ণ জীবন গঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো বৈবাহিক জীবন। আমি বিয়ে করতে চাই দ্বীনকে হিফাজত করার জন্য, চরিত্রকে সংযত রাখার জন্য, এবং পারিবারিক শান্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। বিয়ে মানেই শুরু একটা নতুন অধ্যায়, যেখানে দুইজন মানুষ একে অন্যকে জান্নাতের দিকে টেনে নিয়ে যায়। আমি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত—ভালোবাসা দিয়ে, সবর দিয়ে, দ্বীন দিয়ে।

সকল জেলা , চাঁদপুর , কক্সবাজার , বগুড়া , কুষ্টিয়া , গাজীপুর , ঢাকা , সিলেট

আমি এমন একজন জীবনসঙ্গিনী খুঁজি, যিনি কেবল সংসার করবেন না, বরং আমার জীবনের পথচলার একান্ত সাথী হবেন—ভালোবাসা, সম্মান আর বোঝাপড়ার বন্ধনে। আমি চাই, আমার পাশে একজন এমন মানুষ থাকুক, যার হৃদয়ে থাকবে মায়া, মুখে থাকবে কোমলতা, আর চোখে থাকবে পর্দার হেফাজত। তিনি যেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, নিজেকে পর্দায় আবৃত রাখেন, নন-মহররম পুরুষদের থেকে নিজেকে হিফাজত করেন। দ্বীন নিয়ে কঠোর না হলেও, একজন সৎ, সচেতন, ইসলামী আদর্শে গড়া নারীর স্পর্শ আমি চাই—যিনি আমাকে গড়ে তুলবেন, আমার মানসিক প্রশান্তির জায়গা হবেন। আমি এমন একজনকে চাই, যিনি নম্র, ভদ্র, মায়াবী স্বভাবের হবেন। তিনি আমার যত্ন নিবেন, আমার অনুভূতিকে সম্মান দিবেন, আমাকে সময় দিবেন। আমি খুব একটা কিছু চাই না—শুধু একজন মানুষ, যার কাছে আমি নিজেকে স্বচ্ছন্দে প্রকাশ করতে পারব, চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারব। শিক্ষাগত দিক দিয়ে উচ্চ শিক্ষিত হওয়া জরুরি না। যদি জেনারেল শিক্ষায় এসএসসি পর্যন্ত পড়ে থাকেন, কিংবা কওমি মাদ্রাসা থেকে এলেম নিয়েও থাকেন—তাতেই আমি খুশি। আমি চাই, তিনি ইসলামিক পরিবার থেকে আসুন, যেখানে পর্দা, আদব ও দ্বীনি শিষ্টাচারকে সম্মান করা হয়। তিনি গৃহিনী হবেন, তবে তার মূল দায়িত্ব হবে আমার পাশে থাকা—মানসিকভাবে আমাকে সাপোর্ট দেওয়া, আমার ক্লান্ত সময়ের শান্তি হওয়া। তিনি যদি ইচ্ছা করেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বা অনলাইনে হালাল কোনো কাজ করতে—আমি তাতে উৎসাহ দেব। আমি আলাদা বাসায় সংসার গড়তে চাই, যেখানে আমরা একে অপরের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেব, ভুল-ত্রুটি মাফ করে চলব। আমি এমন একজন জীবনসঙ্গী চাই, যিনি গম্ভীর না—বরং হাসি-খুশি, আবেগপ্রবণ, কোমল হৃদয়ের হবেন। আমার চোখে একজন ভালো স্ত্রী সেই, যিনি স্বামীর পাশে থাকেন কঠিন সময়ে, ভালোবাসা দিয়ে তাকে শক্তি দেন, তার প্রতি আন্তরিক ও দায়িত্বশীল থাকেন। আমার স্বপ্ন—একটি দ্বীনি পরিবেশে সন্তানদের বড় করা, স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হজ ও ওমরাহ আদায় করা, আর দুনিয়ার জীবনটাকে আখিরাতের প্রস্তুতির ঘর বানানো।